ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পুলিশের সুধীসমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে জামায়াত নেতার বাধা

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 27, 2025 ইং
জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধীসমাবেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য থামাতে উত্তেজিত হয়ে আঙুল উঁচিয়ে এগিয়ে আসছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু অডিটরিয়ামে ছবির ক্যাপশন: জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধীসমাবেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য থামাতে উত্তেজিত হয়ে আঙুল উঁচিয়ে এগিয়ে আসছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু অডিটরিয়ামে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধীসমাবেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান। এই ঘটনা ঘটে শনিবার বিকেলে জেলা শহরের শহীদ সাটু অডিটরিয়ামে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তরিকুল আলম, যিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার, বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তাকে বাধা দেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সুধীসমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান।

বক্তব্য দেওয়ার সময়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে না মেলানোর আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তরিকুল আলম। এ সময় সামনের সারিতে বসা জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান উত্তেজিত হয়ে আঙুল উঁচিয়ে তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে আসেন। তিনি চিৎকার করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য থামাতে বলেন। এর পর কিছু মানুষ চেঁচামেচি শুরু করেন এবং একজন তাঁকে মাইক্রোফোন দেওয়ার পর পুলিশ সদস্য তরিকুল আলমের হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে নেন।

এই পরিস্থিতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বলেন, "আমি কী বলতে চেয়েছিলাম, তা বলতে দেওয়া হলো না। আমার বক্তব্য শেষ করতে দেওয়া হলো না।" এরপর তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

লতিফুর রহমান ঘটনাস্থলে প্রথম আলোকে বলেন, "তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) ৫ আগস্টকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়ায় আমি প্রতিবাদ করেছি।"

এ বিষয়ে তরিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, "আমি কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবই। তবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে অস্বীকার করি না। যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা করি। আহত ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি আছে। কিন্তু আমাকে এ কথা বলতে দেওয়া হয়নি, তার আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।"

এ ঘটনার পর, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিমসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দিলেও তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, "ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি হঠাৎ করে ঘটেছে। এর বেশি কিছু বলার নেই।"


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স