বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জামায়াত জানিয়েছে, বৈঠকে ইইউ ও বাংলাদেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জামায়াতের আমিরের সাথে দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ এবং আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। জামায়াত পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের জানান, সম্প্রতি তারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সফর করেছিলেন। সেখানে তারা বেলজিয়াম সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে তাদের (জামায়াত) অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল। এসব বিষয়ে জামায়াত তাদের পরিষ্কার ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী নির্বাচনে জামায়াত তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা বলেছে এবং নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য তাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং একই ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে তাঁদের অবহিত করেছেন। এছাড়া, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সম্পর্কে তারা জানিয়েছে, যৌনকর্মীদের লাইসেন্স দেওয়া নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জামায়াতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে এবং তারা জামায়াতে ইসলামীতে ৪৩% নারীর অংশগ্রহণকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
Abdur Rabby
