জেরুজালেমের পুরাতন শহরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সোমবার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক ফ্ল্যাগ মার্চ, যেখানে হাজার হাজার ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী অংশ নেয়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখলের বার্ষিকী উপলক্ষে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জেরুজালেম মার্চ’ নামে পরিচিত এই র্যালিটি মুসলিম কোয়ার্টারের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। বিক্ষোভকারীরা মুসলিমবিরোধী নানা স্লোগান দেয়, যেমন—“তাদের গ্রাম পুড়ুক” এবং “আরবদের মৃত্যু হোক।” তারা হিজাব পরিহিত নারীদের গালিগালাজ ও থুতু ছুঁড়ে অপমান করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী পোশাক পরা ইসরায়েলি যুবকেরা এলাকাটির দোকান ও ক্যাফে ভাঙচুর করে, পণ্য লুট করে এবং একটি বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে।
স্থানীয় দোকান মালিক রেমন্ড হিমো জানান, তিনি যখন এসবের প্রতিবাদ করেন, তখন এক ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, “এখনই দোকান বন্ধ করো, না হলে তোমাকে রক্ষা করতে পারব না।” এর ফলে দুপুর ১টার আগেই অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে যায়, এবং এলাকাবাসী নিজেদের ঘরে দরজা-জানালা বন্ধ করে আশ্রয় নেন।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া অনেকেই পশ্চিম তীরে বসবাসরত দখলদার ইসরায়েলি। আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে তারা সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করছে। মিছিল চলাকালে ইসরায়েলি পুলিশ ও কিছু বিক্ষোভকারীর মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
এই শোভাযাত্রায় ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির উপস্থিত ছিলেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।