ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 28, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু ভাঙছে, বদলাচ্ছে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি

নারীর জীবনের স্বাভাবিক একটি জৈবিক প্রক্রিয়া হলো পিরিয়ড বা মাসিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনো এই বিষয়টি ঘিরে সমাজে রয়েছে বহু ট্যাবু, কুসংস্কার এবং নীরবতা। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, যেখানে মানুষ মহাকাশে বসবাসের পরিকল্পনা করছে, সেখানে নারীর মাসিক নিয়ে লজ্জা ও গোপনীয়তার সংস্কৃতি এখনো অনেকটাই অটুট।

তবে আশার কথা হচ্ছে—ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে চিত্র। যেখানে একসময় পিরিয়ড ছিল নিষিদ্ধ ও লুকোনো বিষয়, সেখানে এখন মেয়েরাই নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজন নিয়ে সরব হচ্ছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তনের যাত্রায় পুরুষরাও একাত্মতা প্রকাশ করছেন। তাদের মতে, পিরিয়ড শুধু নারীর একক দায়িত্ব নয়; এটি পরিবার এবং সমাজের সম্মিলিত দায়িত্বও বটে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানসিক সমর্থন এবং সামাজিক স্বীকৃতি। এ বিষয়ে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন সিদ্দিকা ইসলাম বলেন, “যেভাবে টয়লেট ব্যবহার শেষে টয়লেট পেপার ব্যবহার করি সেটি স্বাভাবিক, তেমনি পিরিয়ডের সময় নারীরা ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন— এটিও স্বাভাবিক। বিষয়টিকে সহজভাবে নিলেই সমাজ আরও সচেতন হবে।”

বর্তমান প্রজন্ম অনেকটাই সচেতন, কিন্তু প্রথাগত কুসংস্কার ও সংকোচ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তাই দরকার যৌথ উদ্যোগ, যেখানে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা একসাথে কাজ করবে।

সবশেষে, সমাজের প্রতিটি স্তরে এমন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা জরুরি, যেখানে মেয়েরা নিরাপদ, সুস্থ ও সম্মানের সাথে বেড়ে উঠতে পারে। পিরিয়ড লজ্জার নয়, স্বাভাবিকতার অংশ—এই বার্তাই হওয়া উচিত আমাদের নতুন সমাজচিন্তার মুল ভিত্তি।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স