বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ অভিযোগ করেছেন, তাকে সরকারপ্রভাবিতভাবে বোর্ড থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তিনি এ অভিযোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক আহমেদ জানান, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার পরিচালক মনোনয়ন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরপরই তিনি আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মনোনয়ন বাতিলের পেছনে বিসিবির ৮ পরিচালকের অনাস্থা দেখানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন ফারুক আহমেদ। বৈঠক শেষে তিনি স্পষ্ট জানান, পদত্যাগ করবেন না। এরপরই পরিচালকদের অনাস্থা বিবেচনায় নিয়ে এনএসসি তার মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। ফলে বিসিবির সভাপতির পদটি শূন্য হয়ে গেছে এবং শিগগিরই নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে আইসিসির নীতিমালা বেশ স্পষ্ট। তাদের মতে, একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড অবশ্যই স্বায়ত্তশাসিত হতে হবে এবং এর ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো দেশের বোর্ডে এমন হস্তক্ষেপ হলে আইসিসি সেই দেশের সদস্যপদ স্থগিত করতে পারে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে, এমনকি আর্থিক সহায়তাও বন্ধ করতে পারে।
ফারুক আহমেদের অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় এবং এটি সরকারি হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে এবং ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল। সেসব সিদ্ধান্তের পেছনে মূল যুক্তি ছিল বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় আইসিসির কঠোর অবস্থান।
এবার দেখার বিষয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলমান এই টানাপোড়েন কী পরিণতি ডেকে আনে।