রাজধানীর বাজারে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে। ছুটির দিনেও বাজারে ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষ করে মাছ ও মুরগির সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। দোকানদাররা জানান, আড়তদারদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সরবরাহ না পাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে এবং অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।
সারা দেশে চলমান নিম্নচাপের কারণে জেলেরা নদী ও সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে আড়তে মাছের সরবরাহ কমে গেছে এবং তা রাজধানীর বাজারে প্রতিফলিত হচ্ছে। চিংড়ি মাছের দাম কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। শোল, আইড় ও বোয়াল মাছের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের রুই-কাতলা মিলছে না ৪৫০ টাকার নিচে।
সবজির বাজারে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। লাউ, পটল, করলা ও তাল বেগুনের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অনেক সবজি মিলছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। তবে মৌসুমের শেষপ্রান্তে থাকায় টমেটো ও শসার দাম বেড়েছে।
টানা বৃষ্টিতে খামারীরা মুরগি বাজারে আনতে পারছেন না, ফলে রাজধানীর পাইকারি বাজারে মুরগির সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। কাপ্তানবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
এছাড়া, গরুর মাংসের দামেও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে তা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে বৈরী আবহাওয়া ও নিম্নচাপের কারণে বাজারে সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটায় পণ্যের দামে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।