নির্বাসনের মুখে দাঁড়িয়ে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। সেই বাস্তবতা মাথায় রেখেই মাঠে নামে টাইগাররা। তবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। টস জিতে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা বাংলাদেশকে দেয় বিশাল ২০২ রানের লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ম্যাচে উভয় দলে একটি করে পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের একাদশে শেখ মেহেদীর পরিবর্তে সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের দলে ফখর জামানের জায়গায় খেলেন সাহিবজাদা ফারহান।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ফারহান। ৪১ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ঝড়ো ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন হাসান নাওয়াজ, যিনি ছিলেন অপরাজিত। ২৬ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব ২টি করে উইকেট নেন, রিশাদ হোসেন নেন ১টি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। মাত্র দুই ওভারেই দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২ রান। এর মধ্যে ১৩ বল খেলে ২৯ রান করেন তানজিদ হাসান, মারেন ৫টি চার ও একটি ছক্কা। পারভেজ হোসেন করেন ৮ রান।
এরপর একে একে সাজঘরে ফিরতে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তানজিদ, হৃদয়, জাকের, শামীম – সবাই ব্যর্থ। মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে হারায় ৭টি উইকেট। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭৭/৭।
মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত খুশদিল শাহ’র ওভারে আউট হন। একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিলেন তানজিম সাকিব, যিনি হাফসেঞ্চুরি করে কিছুটা আশা দেখান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শরীফুল ইসলামের ইনজুরির কারণে শেষ উইকেট হিসেবে তার মাঠে নামা সম্ভব হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হারার ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও হাতছাড়া হলো লিটন দাসদের।