ব্যাংককের এক পুলিশ স্টেশনে প্রতিদিনের মতোই চলছিল কাজ। হঠাৎই ঘটল ব্যতিক্রমী এক ঘটনা—চোর বা অপরাধী নয়, এক বিড়ালকে নিয়ে হাজির হলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, আমেরিকান শর্ট হেয়ার প্রজাতির ওই বিড়ালটি পথ হারিয়ে ব্যাংককের রাস্তায় ঘুরছিল। প্রাণীটির প্রতি মায়া জন্মায় অফিসারের, তাই তিনি বিড়ালটিকে নিজের জিম্মায় নেন এবং নিয়ে আসেন থানায়। কিন্তু থানায় পা রাখতেই বদলে যায় বিড়ালটির আচরণ। চরম মেজাজে পুলিশের যাকেই পাচ্ছিল, আঁচড়ে-কামড়ে বসছিল সে।
এর ফলে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বিড়ালটিকে ‘গ্রেফতারের’ সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে একটি মাগশট (mugshot) তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে মজার ছলে লেখা হয়—“দ্রুত মালিক এসে জামিন না নিলে, বিড়ালটি কারাগারে প্রেরণ করা হবে।”
এই ছবি ও খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই বিড়ালটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় তার প্রকৃত মালিককে।
জানা যায়, বিড়ালটির নাম ‘নুব ট্যাং’, যার অর্থ ‘টাকা গণনা’। মালিক জানান, ক্ষুধার কারণেই এমন আচরণ করেছিল তার প্রিয় পোষা প্রাণী। এরপর একটি লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে ‘নুব ট্যাং’-কে ফেরত দেওয়া হয় তার মালিকের হাতে।
ঘটনাটি একদিকে যেমন হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে, তেমনি পশুপ্রেম ও মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবেও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।