ইসরায়েল পশ্চিম তীর সফরে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন আরব নেতাদের যাওয়ার অনুমতি দেবে না। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গোপন এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু প্রশাসন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এই সফর আটকে দিতে চাচ্ছে।
সোমবার রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের কথা ছিল। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, মিসর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তারা জর্ডান থেকে হেলিকপ্টারযোগে পশ্চিম তীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ইসরায়েল পশ্চিম তীরের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে তেলআবিবের অনুমোদন ছাড়া সেখানে প্রবেশ সম্ভব নয়, যা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আরব প্রতিনিধিদের পশ্চিম তীরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নেতানিয়াহু প্রশাসন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
বৈঠকে বলা হয়, আরব নেতাদের এই সফর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে, যা পিএলও প্রধান মাহমুদ আব্বাসের পরিকল্পনা। ইসরায়েল মনে করছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন তৈরি হলে তা তাদের অন্তরে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের জন্ম দেবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিম তীর সফর আটকে দেওয়ায় আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক আরও সংকটাপন্ন হতে পারে এবং তেলআবিব-রিয়াদের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে।
গতকালে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে। আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের এজেন্ডা থাকবে। সেখানে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব আনতে পারে। সৌদি আরব আশা করছে, অন্যান্য দেশও ফ্রান্সের পথ অনুসরণ করবে।