ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি রয় মিরাজহি ও আলমগ আটিলাস নামের দুই ইসরায়েলি তরুণকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তারা ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে একে একে ছোট ছোট কাজ দেওয়া হয়। শেষপর্যায়ে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের বাড়ির সামনে স্পাই ক্যামেরা বসানোর জন্য। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, এই নজরদারির মূল উদ্দেশ্য ছিল মন্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা।
এটি একাকী ঘটনা নয়, গত এক বছরে এমন আরও ২০টির মতো ঘটনা তদন্ত করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইত। তারা জানিয়েছে, তেহরান ইসরায়েলিদের গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ইসরায়েলিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা স্থানের ছবি তোলা, গ্রাফিতি আঁকা ইত্যাদি ছোটখাটো কাজের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সহজে অর্থ উপার্জনের প্রলোভনে অনেক ইসরায়েলি এই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে।
শিন বেইতের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানি গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা প্রায় ৪শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।