সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের কিছু ধারা অপপ্রয়োগের সুযোগ তৈরি করছে: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সদ্য জারি করা সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর কিছু ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। তবে সরকার সে বিষয়ে সচেতন এবং যাতে এর কোনো অপব্যবহার না হয়, সে দিকটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, অধ্যাদেশের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কর্মপরিবেশ রক্ষা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং সকলকে সচিবালয়ে পেশাদার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিলসহ সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও চাকরি থেকে সহজে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে তারা এই অধ্যাদেশের নিবর্তনমূলক ধারা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।