ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নির্ধারিত আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর ও বৈঠক বাতিল করেছে, যার ফলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে রোববার (১ জুন) জানানো হয়, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীদের এই সফর ছিল পূর্বনির্ধারিত।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের লক্ষ্যেই এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে তুরস্কেরও অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিম তীরের সীমান্ত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় তেল আবিবের অনুমোদন ছাড়া সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। আর সেই অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে ইসরায়েল।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এ পদক্ষেপকে "অভূতপূর্ব ও উত্তেজনাপূর্ণ" বলে আখ্যায়িত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অন্য আরব দেশগুলোও বিষয়টিকে অপমানজনক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলছে।
এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল-আরব সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির ইস্যু আলোচনায় রয়েছে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ও আরব দেশগুলোর দাবি, ইসরায়েলের এ নিষেধাজ্ঞা তাদের একতরফা ও দমনমূলক নীতিরই ধারাবাহিকতা।