নরসিংদীতে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আসামি শাহপরাণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এর আগে, শনিবার মধ্যরাতে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাহপরাণ (৩০) কেরাণীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৮ মে বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শ্যামলীতে যাওয়ার সময় ওই নারী ভুক্তভোগী রাইড শেয়ার মোটরসাইকেলে উঠেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে মোটরসাইকেল চালক তাকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভাস্থ পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে ধর্ষণ করেন। একই সঙ্গে নারীর কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ দ্রুত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ২৯ মে ওই নারী ধর্ষণকারী শাহপরাণকে প্রধান আসামি করে এবং অপর দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশে পুলিশ, ডিবি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইউনিট সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে শনিবার মধ্যরাতে কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। পরে রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।