ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে এক ব্যক্তির লাগেজ থেকে ৪৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) স্থানীয় সময়, থাইল্যান্ড থেকে ফেরত আসা ওই ভারতীয় নাগরিককে কাস্টমস কর্মকর্তারা আটক করে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, তার চেক-ইন লাগেজে ছিল ৪৭টি বিষধর ভাইপার, ৩টি স্পাইডার-টেইলড হর্নড ভাইপার, ৫টি এশিয়ান লিফ কচ্ছপ এবং ৪৪টি ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার। এসব প্রাণী ভারতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি, এবং তিনি বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাস্টমস বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি থালায় জড়াজড়ি করা রঙিন সাপের ছবি শেয়ার করেছে। পাচারকারী কীভাবে বা কোথা থেকে এসব সরীসৃপ সংগ্রহ করেছিলেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারতে বন্যপ্রাণী আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়, তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে বিপন্ন বা সংরক্ষিত প্রজাতির আমদানি অবৈধ। এছাড়া, এসব প্রাণী আমদানি করার জন্য অনুমতি ও লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক।
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দিল্লি বিমানবন্দরে এক কানাডিয়ান নাগরিককে কুমিরের খুলি বহনের জন্য আটক করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ট্রলি ব্যাগে প্লাস্টিকের ক্রেটে লুকিয়ে রাখা ৫টি সিয়ামাং গিবন উদ্ধার করা হয়েছিল, যা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিপন্ন বানর প্রজাতি।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্যাংকক থেকে ফেরত আসা দুই যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি বিদেশি কচ্ছপ জব্দ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে চেন্নাই বিমানবন্দরে থাইল্যান্ড থেকে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি হর্নড পিট ভাইপার, ৫টি ইগুয়ানা, ৪টি ব্লু-টাংড স্কিঙ্ক, ৩টি গ্রিন ট্রি ফ্রগ এবং ২২টি মিশরীয় কচ্ছপ জব্দ করা হয়েছিল।
ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে বন্যপ্রাণী পাচার রোধে কাস্টমস ও বন বিভাগের তল্লাশি ও নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে বিরল প্রাণী পাচারের ঘটনা বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে।