ইসরায়েলের 'অ্যারো' ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ফুরিয়ে আসছে: ইরানি হামলায় কমে যেতে পারে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের সক্ষমতা
জেরুজালেম, ১৮ জুন: গত ছয় দিন ধরে ইরানের নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের আয়রন ডোমসহ অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে, জানা গেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ 'অ্যারো' মিসাইলের মজুত ইসরায়েলের ফুরিয়ে আসছে। বুধবার (১৮ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও রয়টার্স।
দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সক্ষমতা হ্রাস
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার কাজে ব্যবহৃত অ্যারো মিসাইলের মজুত কমে যাওয়ায় ইরান থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর ইসরায়েলের সক্ষমতা কমে আসতে পারে।
এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি সম্পর্কে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই অবগত। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি আরও উল্লেখ করেছে যে, 'গোলাবারুদ ও অস্ত্রের মজুদ নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে' ইসরায়েলি বাহিনী অস্বীকার করেছে।
অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও গুরুত্ব
২০২৪ সালে প্রকাশিত বিবিসির প্রতিবেদনে অ্যারো ২ ও অ্যারো ৩ নামে দুই ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯১ সালে ইসরায়েলে অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।