ইরান ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়কে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। সম্প্রতি তেলআবিবে চালানো এক হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল এই ধরণের শক্তিশালী মারণাস্ত্র, যদিও ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
১৯ জুন রাতে তেলআবিবে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। একাধিক আবাসিক এলাকা দফায় দফায় বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। আইডিএফ জানায়, এসব মিসাইলের মধ্যে অন্তত একটি ছিল ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চাদরে থাকা ক্লাস্টার মিউনিশন একটি ভয়ংকর মারণাস্ত্র, যা কখনো কখনো ব্যালিস্টিক মিসাইলের থেকেও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।
ক্লাস্টার মিউনিশন যুক্ত ওয়ারহেডগুলো মাটি থেকে প্রায় ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় আকাশে পৌঁছে ছোট ছোট সাবমিউনিশনে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এরপর সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে।
এই ক্লাস্টার বোমার সাবমিউনিশনগুলো দীর্ঘদিন অবিস্ফোরিত অবস্থায় মাটিতে থাকতে পারে, যা অজান্তে স্পর্শ করলে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলোকে এক ধরনের জীবন্ত মাইন হিসেবেও দেখা হয়।
২০০৮ সালে ‘কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশন’ নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়, যেখানে ক্লাস্টার বোমার সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। একশোর বেশি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইরান এখনো সই করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ কিছু পরাশক্তি দেশই ক্লাস্টার প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার রাখে। ধারণা করা হয়, ইরানের রহস্যময় ক্ষেপণাস্ত্র বহরে এই ওয়ারহেড রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম খায়বার এবং ফাজর থ্রি ব্যালিস্টিক মিসাইল।