সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ইরানের কুদস ফোর্স প্রধান এসমাইল কানি তেহরানে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে অংশ নেন। ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাফল্য উদযাপনের জন্য।
গত শুক্রবার (২০ জুন) নিউইয়র্ক টাইমস একটি ইরানি সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় কানি নিহত হয়েছেন। তবে কানির প্রকাশ্য এই উপস্থিতি তার মৃত্যুর খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রমাণিত করেছে।
কানি ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কাসেম সোলেইমানির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিন নিহত হওয়ার পর কানির অবস্থান নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, কানি জীবিত রয়েছেন এবং ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাকে ও তার দলকে তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়। এক সূত্র জানায়, ‘ইরানীয় কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করেন যে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর লেবানন বিষয়ক দফতরে অনুপ্রবেশ করেছে, তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে তদন্তাধীন রাখা হয়েছে।’
অক্টোবর মাসে ইসরায়েলি মিডিয়া স্কাই নিউজের বরাত দিয়ে জানা যায়, তদন্তের সময় কানি হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন।
তবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) তেহরানের জনসমাবেশে কানি সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় উপস্থিত ছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া তাসনিম নিউজ এজেন্সি এবং প্রেস টিভি এই ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাসনিম এক্সে তারা লিখেছে, ‘অপারেশন ডিভাইন ভিক্টরি (ঐশ্বরিক বিজয়)-এর পর তেহরানের জনসমাবেশে কুদস ফোর্স কমান্ডার কানি উপস্থিত ছিলেন।’
উল্লেখ্য, ১২ দিনের বিমান হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন, যা দুই দেশই মেনে নিয়েছে।