ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের অনেককে ‘ইসরায়েলের ভাড়াটে সৈনিক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইউএস সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফার্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যাদের শনাক্তকরণ হয়েছে স্থানীয় জনগণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে।
গ্রেফতারের ঘটনাটি ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে ঘটেছে, যার মধ্যে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স ও লোরেস্তান উল্লেখযোগ্য। তবে, তেহরান থেকে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ স্বীকার করেছে যে, তাদের এজেন্টরা ইরানের ভেতরে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাজ করছিল। গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার আগে মোসাদ তাদের কিছু গুপ্তচরের ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে ইরানের অভ্যন্তর থেকে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি দেখা যায়।
এই ঘটনার পর থেকে ইরান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীতে উদ্বেগ ও সতর্কতা বেড়েছে। দেশটির প্রশাসন ইতিমধ্যে অনলাইনে ইসরায়েলের পক্ষে লেখা বা পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ‘সমাজের মানসিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তি কঠোরভাবে দমন করতে তেহরানের প্রসিকিউটর অফিসে একটি নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে, যা মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছে।
ইরানের অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যুদ্ধে বহু ‘ইসরায়েলি গুপ্তচরকে’ মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে এই খবরের স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।