ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো নিজ দেশে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাপানের, নতুন সমীকরণের দিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 25, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

জাপান প্রথমবারের মতো নিজের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশটির সেনাবাহিনী এই পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

আজ বুধবার (২৫ জুন) মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রভাবকে মোকাবেলা করতে এবং নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে জাপান এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। হোক্কাইডো দ্বীপের শিজুনাই এন্টি এয়ার ফায়ারিং রেঞ্জে টাইপ-৮৮ নামের স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি দ্বীপের দক্ষিণ উপকূল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি ক্রুবিহীন নৌকাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়।

এর আগে জাপান বিভিন্ন সময়ে মার্কিন ও অস্ট্রেলিয়ার ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলেও, এবার প্রথমবার নিজের ভূখণ্ডে এই পরীক্ষা চালানো হলো। জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আগামী রোববার আরও একটি পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়বে না, ভবিষ্যতে জাপানের জন্য বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান শান্তির সংবিধানের আওতায় শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করতো। তবে ২০২২ সালে নতুন পাঁচ বছরের নিরাপত্তা নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে তারা সেই নীতিমালা থেকে সরে আসে। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সামরিক প্রভাব মোকাবেলা করা।

এ লক্ষ্যে জাপান-মার্কিন জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে দেশটি। চলতি বছরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা টমাহকসহ দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কাজ শুরু করবে জাপান।

সাথে জাপান নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার পাল্লার টাইপ-১২ ভূমি থেকে জাহাজে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যা টাইপ-৮৮ এর দশ গুণ বেশি শক্তিশালী। মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি ট্রাক-মাউন্টেড টাইপ-৮৮ গাইডেড মিসাইলের পাল্লা প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

এছাড়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের জনবসতিহীন মিনামিটোরিশিমা দ্বীপে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জ তৈরি করার প্রস্তুতিও চলছে। চলতি মাসের শুরুতে সেখানে প্রথমবারের মতো দুটি চীনা বিমানবাহী রণতরীকে টহল দিতে দেখা গেছে।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সব কার্যক্রম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাড়তে থাকা উত্তেজনার একটি স্পষ্ট সংকেত।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স