চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুই ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা, ২৫ জুন: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় নাজমুল হক ও আব্দুল খালেক নামের দু'জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতদের পরিচয় ও মামলার বিবরণ
দণ্ডিতরা হলেন– জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর বানপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী গ্রামের নাজমুল হক (৩৩)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুন মিনাজপুর বানপুর গ্রামের ৬ বছর বয়সী এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেন আব্দুল খালেক। এই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার বাড়াদী গ্রামের মীরপাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আসামি নাজমুল হক। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার বাবা ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি নাজমুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সন্তুষ্টি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহজাহান মুকুল জানান, পৃথক দুটি রায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট। তিনি মনে করেন, ধর্ষণের ঘটনায় এই দুটি রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং এর ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমবে।