চট্টগ্রামে শুল্ক কর্মকর্তাদের টানা কর্মসূচির কারণে কাস্টমস হাউস এবং বন্দরগুলো সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি, রফতানি এবং শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বন্দর থেকে পণ্য খালাসেও।
রোববার (২৯ জুন) দ্বিতীয় দিনও চলমান এই আন্দোলনের ফলে বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে কন্টেইনার জট তৈরি হয়েছে। ফলে বন্দরের জলসীমায় অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যাও বাড়ছে।
সরেজমিন পরিস্থিতি দেখা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোনও কাজ করছেন না। প্রতিটি দফতরে তালা ঝুলছে। আমদানি ও রফতানিকারকদের প্রতিনিধিরা এসে কাজ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। শুল্কায়ন বন্ধ থাকায় তারা বড় ধরনের দুর্ভোগে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, এই আন্দোলনের কারণে তাদের অতিরিক্ত খরচ সহ্য করতে হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই তারা যত দ্রুত সম্ভব এই সংকট সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির প্রতিবাদ এবং চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামের শুল্ক কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।