ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 30, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় আরও কমপক্ষে ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যারা খাদ্য সহায়তার জন্য বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।

রোববার (২৯ জুন) রাতে আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, রোববার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় গাজা শহর ও উত্তরের অংশে অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন।

গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মুয়াত আল-কালহুত জানান, জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজার এলাকায় বিমান হামলার পর উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে আহতরা ভিড় করেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড বা চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, অনেকেই মেঝেতে পড়ে আছেন এবং হাসপাতালটি চরম সংকটে রয়েছে।

মুয়াত আরও জানান, ইসরায়েল পূর্ব গাজা শহরের সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে সরে যেতে লিফলেট দিয়ে সতর্ক করলেও, তার পরপরই ভারী বোমা হামলা শুরু হয়েছে, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

রোববার নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন যারা দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহর উত্তরে অবস্থিত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন। এই কেন্দ্রগুলো গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালনা করছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জিএইচএফ গাজায় সহায়তা বিতরণ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা প্রায়শই এসব কেন্দ্রের আশপাশে থাকা মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের দৈনিক হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ইসরায়েলি সেনা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন যে, তাদেরকে নিরস্ত্র সহায়তা প্রার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে ভাঙচুর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গাজায় মানবিক সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। পুষ্টিহীনতার কারণে শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু বাড়ছে। গাজার একটি হাসপাতালে কর্মরত অস্ট্রেলিয়ান স্বেচ্ছাসেবী নার্স ক্রিস্টি ব্ল্যাক জানিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাব রয়েছে। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য বিশেষ ফর্মুলা খাবারও নেই, যার ফলে অনেক মা দুধ উৎপাদন করতে পারছেন না এবং শিশুদের জন্য বিকল্প দুধের ব্যবস্থা নেই।

তিনি আরও জানান, মাত্র কয়েক দিনে গাজা শহরে অপুষ্টির কারণে কয়েকজন শিশু মারা গেছে। বোমা হামলার ধুলা ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শিশুদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগও বেড়েছে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স