ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রকৃত ফলাফল গোপন রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করছেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা কার্যত কোনো বড় সাফল্য বয়ে আনেনি। সোমবার (৩০ জুন) বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ তথ্য প্রকাশ করে।
রোববার (২৯ জুন) নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে খামেনি বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ঘটনার ওপর অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে বলছেন, যা থেকে বোঝা যায় তার এই অতিরঞ্জনের পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ ওই বক্তব্য শুনলে বুঝতে পারবে, কথার আড়ালে অন্য একটি বাস্তবতা লুকিয়ে আছে— আসলে তারা কিছুই করতে পারেনি। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই এত বড় কথা বলছে।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা হামলা চালিয়ে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছি এবং তারপর থেমে গিয়েছি। এটা ছিল দারুণ কাজ। তারা আর এগোতে পারত না... এটি ছিল ভয়ঙ্কর ও তীব্র ১২ দিন।’
গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, বেসামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ওই হামলায় ৬০৬ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হন।
পরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হয়ে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, যা সংঘাতকে আরও তীব্র করে তোলে। এর জবাবে তেহরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০০ এর বেশি আহত হয়েছে বলে হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম জানিয়েছে।