ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চাপিয়ে দেওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে ধর্মীয় নেতার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব এবং সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সাহসিকতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের নির্দেশনা ও সমর্থন ছাড়া এই সংকট কাটিয়ে উঠে আমরা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পথে ফিরতে পারতাম না।”
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, “ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট আলেম, একাডেমিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের যাঁরা সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর পাশে থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা ও সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”
তিনি দেশের বাইরে অবস্থানরত ইরানিদের অবদানও বিশেষভাবে স্বীকার করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, “জাতীয় ঐক্য, সংহতি এবং একতাকে আরও সুদৃঢ় করতে প্রবাসী ইরানিদের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং মমত্ব স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রধান কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে পেজেশকিয়ান বলেন, “ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইরান পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় কাজ করতে প্রস্তুত। এর মাধ্যমে আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের দ্বার উন্মোচন করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “তেহরান বিশ্বাস করে পারস্য উপসাগর শান্তি ও সহযোগিতার প্রতীক। এই অঞ্চলের দেশগুলোর বিশেষ করে জিসিসি-র সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হলে শুধু ইসলামি বিশ্ব নয়, বরং গোটা অঞ্চলে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে যাবে।”
Abdur Rabby
