অস্বাভাবিকভাবে ইলিশের দাম যেন না বাড়ে: মৎস্য উপদেষ্টা

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে যেন না বাড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশের দাম ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘ইলিশসহ সব ধরনের মাছের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে করণীয়’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম শুধু ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং বাজারে দাম বাড়ার প্রকৃত কারণগুলো খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি জানান, ইলিশের আহরণ ও সংরক্ষণে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা দেশের ইলিশ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক নিষিদ্ধ জাল আটক ও ধ্বংস করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ জাল উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতেও নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

নদীর নাব্যতা সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় ইলিশের প্রাকৃতিক চলাচলের পথ ও আবাসস্থল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন ও চলাচল নিশ্চিত করতে নদীর নাব্যতা সংকটকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আখতার, যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুল ওয়ারীশ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার এম আলী আকবর সিরাজী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পরিচালক ক্যাপ্টেন সাইফুল, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আড়তদার, মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।