ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চাঁদার টাকা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 1, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার কারণে স্বামীকে বেঁধে মারধর এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ, শম্ভুপুর ইউনিয়নের এক যুবককে গত শনিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালায় একই এলাকার মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজের ছাত্র রাসেল, তার ভাই আলাউদ্দিনসহ একটি সংঘবদ্ধ দায়।

একপর্যায়ে ওই যুবকের স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে মুক্ত করতে বলা হয়। রোববার সকালে স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে চার লাখ টাকা চাঁদার দাবি করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, ‘ভাই’ বলে পায় ধরে কেঁদে ধর্ষকদের হাত থেকে মুক্তির আবেদন করলেও সে রক্ষা পায়নি। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় স্বামীকে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় এবং পরে অন্যত্র সরিয়ে তিনজন মিলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চালায়।

ধর্ষণের পর স্বামী-স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে কাউকে বিষয়টি বলার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় এবং তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুচিবাড়িরকোনা বাজারে নিয়ে এসে ঘটনাটি জানায়।

ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুরো ঘটনাটি জানান। রাতে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সোমবার দিনভর তদন্ত চালায়। তবে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহব্বত খান জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটি থানা অফিসে দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স