মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার নিবন্ধন এবং স্মার্ট এনআইডি সেবা দেবে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। সোমবার (৩০ জুন) থেকে এই সেবা শুরু হবে বলে হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের এই দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন এবং স্মার্ট এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
শনিবার (২৮ জুন) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে হাইকমিশন থেকে প্রবাসীদের নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। তাই প্রবাসীদের সরাসরি হাইকমিশন থেকে সেবা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যারা পূর্বে এনআইডির জন্য আবেদন করেছেন, তারা consular.kualalumpur@gmail.com ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করে এনআইডি কার্ডের আপডেট জানতে পারবেন। এছাড়া, দূতাবাসের এনআইডি কাউন্টার থেকেও স্মার্ট এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
ভোটারযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য যে দলিলাদি জমা দেবেন, সেগুলো হলো:
১. অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র (নিবন্ধন ফরম-২ক)
২. বৈধ মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্ট
৩. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
৪. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
৫. ৭৫ রিঙ্গিত ফি বাবদ মেয় ব্যাংক (May Bank)-এ জমাদানের মূল রশিদ (হিসাব নং-৫৬৪৪২৭৫৬০৮৭৮)
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নাগরিকত্ব সনদ (যেমন: মেয়র/কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সিইও), পিতা-মাতার এনআইডি বা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, শিক্ষা সনদ (পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি বা সমমান), বিবাহিতদের ক্ষেত্রে নিকাহনামা, স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি, ভোটার এলাকা ঠিকানার ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ) ইত্যাদি দলিলাদি অবশ্যই বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
যদি অন্য কোনো প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংগ্রহে সমস্যা হয়, তবে আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধি মাধ্যমে এই দলিলাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার বা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া যাবে।