মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর ও ব্যয় সংকোচন বিল নিয়ে অসন্তোষ থেকেই এ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মাস্ক সতর্ক করে বলেছেন, যেসব আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দেবেন, তাদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হবে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পও পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিপুল পরিমাণ সরকারি ভর্তুকি পেয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, ভর্তুকি বন্ধ হয়ে গেলে মাস্কের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, এমনকি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ইলন মাস্ক। বিভিন্ন সময় দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও ছিল আলোচনায়। মাস্কের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রচারণায় কোটি কোটি ডলার অর্থায়নের কথাও শোনা যায়।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মাস্ককে তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান মাস্ক। পাশাপাশি মন্ত্রিসভা গঠন ও নীতিনির্ধারণেও মাস্কের ব্যাপক প্রভাব ছিল। বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাঁরা একে অপরের পক্ষে অবস্থান নিতেন।
কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের 'বিগ বিউটিফুল বিল' নামে পরিচিত কর ও ব্যয় সংকোচন বিলকে কেন্দ্র করে মাস্ক-ট্রাম্পের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। মাস্ক একের পর এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বিলটির সমালোচনা করেন এবং এই বিলের পক্ষে যারা থাকবেন, তাদের 'রাজনৈতিকভাবে দেখে নেওয়ার' হুমকি দেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে কার্যত একদলীয় শাসন চলছে। তাই 'আমেরিকান পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
এরই জবাবে ট্রাম্প ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি অভিযোগ করেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি পেয়েছে। ভর্তুকি বন্ধ হলে মাস্কের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তাকে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে, মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া সব ধরনের ভর্তুকি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন তিনি।