বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের চাপের মুখে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজুন নূরকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পটিয়া থানার ওসিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা অবরোধ করে রাখে। প্রায় ৯ ঘণ্টা দীর্ঘ এ সড়ক অবরোধের ফলে যানজট সৃষ্টি হয়, যা যাত্রীদের জন্য বিরাট কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একই দাবিতে চট্টগ্রামের জাকির হোসেন সড়কেও বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এনসিপির নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন।
এই আন্দোলনের শুরু ঘটে ১ জুলাই রাতে, যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগ কর্মী দীপঙ্কর দে (২৯) কে আটক করেন। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলা গ্রহণ করা হয়নি। দীপঙ্করের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য থাকার অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং আন্দোলনকারীরা আহত হন।
পুলিশের দাবি, মিছিলের সময় ওই ব্যক্তিকে মারধর করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তিনি থানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরে ছাত্র আন্দোলনের দাবি মেনে ওসি আবু জায়েদ মো. নাজুন নূরকে প্রত্যাহার করা হয়।
বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।