ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের ‘ইতিবাচক জবাব’

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার (৪ জুলাই) হামাস জানিয়েছে, মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে তারা ‘ইতিবাচক জবাব’ দিয়েছে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। আলোচনায় জিম্মিদের মুক্তি ও সংঘাতের অবসানের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।

শনিবার (৫ জুলাই) বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি প্রকাশ করেছে।

হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা কাতার ও মিশরকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমাদের সাড়া দিয়েছি। হামাসের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। আমি মনে করি, এটি চুক্তি অর্জনে সাহায্য করবে।’

এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করার লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাস নিজেদের মধ্যে পরামর্শ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।

হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য এই কাঠামোর আলোকে তাৎক্ষণিক আলোচনার জন্য হামাস সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইল ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে এবং এই সময়ে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের প্রচেষ্টা চলবে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোর আলোচনার মাঝেই গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার গাজা সিটির আল-সাবরা গার্লস স্কুল ও আল-হুররিয়া স্কুলে ড্রোন হামলায় কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। খান ইউনিস ও জাবালিয়াতেও বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। রাফায় আইসিআরসি ফিল্ড হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। রেড ক্রস জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা গাজার প্রতিদিনের বাস্তবতা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইল সামরিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধু মার্চ মাসেই নতুন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। চার মাস ধরে গাজায় এক ফোটা জ্বালানি প্রবেশ করেনি, ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নাসের হাসপাতাল এখন বিশাল একটি ট্রমা ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাও নেই।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণকেন্দ্র ও কনভয়ের আশপাশে অন্তত ৬১৩ জন নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই শিশু ও তরুণ।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স