পটুয়াখালীর মহিপুরে এক যুবকের বিরুদ্ধে পারিবারিক শালীনতা ভঙ্গ করে প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি প্রতিবাদকারী দুই নারীকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব ডালবুগঞ্জ গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী এক গৃহবধূর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন। গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকার সুযোগে আল আমিন প্রায়ই ওই নারীর বাসায় যেতেন। সোমবার (৩০ জুন) রাতে আল আমিন ওই বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন প্রতিবেশী রেজবানু বিষয়টি দেখে ফেলেন এবং তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে আল আমিন তার Several সহযোগীদের নিয়ে রেজবানু ও তার মা গোলবানুর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় গোলবানুর পায়ে কোপ লাগে এবং উভয়েই আহত হন। পরে তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রেজবানু বলেন, “আমি ওই রাতে বাড়ির সামনে ছিলাম। হঠাৎ দেখি আল আমিন পাশের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। জানতে চাইলে সে অপমানিত বোধ করে এবং দুই দিন পর আমাদের মারধর করে।”
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার কারও সঙ্গে এমন কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমি কাউকে আক্রমণ করিনি।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, “আমরা আগে এই বিষয়টি জানতাম না। এখন খোঁজ-খবর নিচ্ছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায়, দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।