কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়িতে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা শুক্রবার (৫ জুলাই) বাঙ্গরা বাজার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সংঘবদ্ধ হামলায় নিহত হন রুবি আক্তার, তার মেয়ে রুমা আক্তার এবং ছেলে রাসেল মিয়া। রাসেলের স্ত্রীর দাবি, ঘটনার আগের রাতেই তাদের সবাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত, যা অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই সাজানো হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও বাছিরকে উসকে দেন, যাতে তারা স্থানীয় জনতাকে উত্তেজিত করে মব গঠন করে হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে। তবে শিমুল বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি উত্তেজিত জনতাকে থামতে বলেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, নিহত রুবি আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের ওপর হামলা চালান। এরপরই স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়, যার জেরে এই তিনজন নিহত হন।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, রুবি আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা থাকলেও এ ধরনের মব ভায়োলেন্স কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।