চট্টগ্রামের রাউজানে ধূমপান নিয়ে দুই কিশোরের মধ্যে মারামারি শুরু হলে সেটি বন্ধ করতেই এগিয়ে যান এলাকার এক সাবেক যুবদল নেতা। কিন্তু তাকে থামানোর সময় বুকে একটি ঘুষি লেগে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতের এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ আলমগীর (৪৫), তিনি উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, আলমগীর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গ্রামে আসতে পারেননি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পরিবর্তনের পর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন এবং মুরগি বিক্রির একটি দোকান শুরু করেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ওই দোকানে ছিলেন। দোকানের সামনে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া হয়। তাদের বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৬ বছর, এবং মোট প্রায় ১৫ জন involved ছিলেন। আলমগীর ওই সময় দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ তার বুকে একটি ঘুষি লাগে। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান।
আলমগীরকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে নগরের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলমগীরের ছোট ভাই মুহাম্মদ রফিক জানান, দুই গ্রামের কিশোরদের মধ্যে মারামারির ঘটনা থামানোর জন্য তার ভাই এগিয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় প্রাপ্ত আঘাতের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরে মারা যান।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘুষির আঘাতে আলমগীর মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হৃদরোগজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছেন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।