ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

হঠাৎ চোখ ঝাপসা দেখা, মুখের একপাশ বাঁকা হয়ে যাওয়া এবং কথা জড়িয়ে যাওয়া—এসব লক্ষণ যদি দেখা দেয়, তাহলে তা হতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সংকেত। হৃদপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণ এই রোগের মূল কারণ।

সাধারণত ৪৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া মেনোপজের পর মহিলাদেরও এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পরিবারে কারো (বাবা-মা বা ভাইবোন) হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রাও এই রোগের কারণ হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

  • হঠাৎ মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া

  • বুকে ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হওয়া

  • কথা জড়িয়ে যাওয়া বা মুখের একপাশ অবশ হয়ে যাওয়া

  • হঠাৎ মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা

  • বাহু, কাঁধ, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা

  • শ্বাসকষ্ট

  • দুর্বলতা, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে পড়া

  • বাম হাতে ব্যথা বা অবশ ভাব

  • বমি বা বমিভাবের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে

যদি কারো হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সন্দেহ হয়, তাহলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন এবং প্রশিক্ষিত হলে CPR দিতে প্রস্তুত থাকুন।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়:

১. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
কম লবণ, কম চিনি ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খান। ফল, সবজি, শস্য, বাদাম এবং মাছ বেশি খাওয়া ভালো। ট্রান্স ফ্যাট, প্রসেসড খাবার ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন।

২. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা হাঁটা, সাইকেল চালানো বা ব্যায়াম করুন। অলস জীবন হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

৩. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজন হলে ওষুধ খান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
তামাক ও ধূমপান হার্ট ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়ায়।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের বড় কারণ। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।

৬. মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদয়ের জন্য ক্ষতিকর। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা পছন্দের কাজে মন দেওয়া জরুরি।

৭. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডসহ অন্য যেকোনো সমস্যা থাকলে নিয়মিত চেকআপ করুন।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হলো প্রাণঘাতী রোগ, তবে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তাই নিজের ও পরিবারের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা ও সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স