অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ইহুদি উপাসনালয় ও ইসরায়েলি রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে এসব হামলার ঘটনা ঘটে, যা দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়তে থাকা ইহুদিবিরোধী হামলার সর্বশেষ উদাহরণ।
ভিক্টোরিয়া রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, ইস্ট মেলবোর্নের অ্যালবার্ট স্ট্রিটে অবস্থিত একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) প্রধান দরজায় এক ব্যক্তি দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সময় ভেতরে প্রায় ২০ জন উপস্থিত ছিলেন, যারা শাবাত উপলক্ষে একত্রিত হয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি সম্প্রদায়ের নির্বাহী পরিষদের (ইসিএজে) সহ-প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স রিভচিন এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আহত হননি এবং দমকল বাহিনী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। হামলাকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি, সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।
এর কিছুক্ষণ পর, মেলবোর্নের ব্যস্ত এলাকা হার্ডওয়্যার লেনে প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারী একটি ইসরায়েলি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা “আইডিএফ-এর মৃত্যু হোক” বলে স্লোগান দেয়। পুলিশ একজন ২৮ বছর বয়সী যুবককে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে এবং পরে সমন দিয়ে ছেড়ে দেয়।
উল্লেখ্য, এই রেস্তোরাঁটি ‘মিজনন’ নামের, যার মূল শাখা ইসরায়েলের বাণিজ্যিক শহর তেল আবিবে। পরে এর একটি শাখা মেলবোর্নে চালু করা হয়।
এছাড়া শনিবার (৫ জুলাই) ভোরে গ্রিন্সবরো শহরতলির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে তিনটি গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সেই সাথে দেয়াল ও গাড়িতে বিভিন্ন স্লোগানও লেখা হয়। ভিক্টোরিয়া পুলিশের অ্যাক্টিং কমান্ডার জোর্কা ডানস্ট্যান জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি আগেও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।
সব ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ইউনিট। যদিও এখন পর্যন্ত এগুলোকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ডানস্ট্যান জানান, তারা এসব ঘটনার নেপথ্যে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য ও আদর্শ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন।