ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন, নীল নদের ওপর নির্মিত গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস ড্যাম (জিইআরডি) বা মহাকায় রেনেসাঁস বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা ইথিওপিয়ার জন্য বিশাল সাফল্য হলেও মিশর ও সুদানের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিশর নীল নদের পানির ওপর শতকরা ৯৭ ভাগ নির্ভরশীল। দেশটির আশঙ্কা, এই বাঁধের কারণে মাত্র ২ শতাংশ পানির প্রবাহ কমলেই ২ লাখ একর কৃষিজমি পানিশূন্য হয়ে পড়বে।
সুদানও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আল-বুরহান এক বৈঠকে জানান, ব্লু নাইল অববাহিকায় কোনো একতরফা পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।
এর আগেও, ২০২০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, মিশর বাঁধটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার চেষ্টা চললেও কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি। ইতিমধ্যেই ইথিওপিয়া বাঁধের জলাধার পূরণের কাজ শুরু করেছে, যার ফলে মিশর ও সুদানের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
ইথিওপিয়া বলছে, তারা সমস্যার শান্তিপূর্ণ এবং যৌথ সমাধান চায়। তবে পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো কোনো ফল বয়ে আনেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাঁধ ইথিওপিয়ার শক্তি খাতে বিপ্লব ঘটালেও মিশর ও সুদানের জন্য এটি মারাত্মক পানির সংকটের কারণ হতে পারে।
তারা সতর্ক করেছেন, ‘পানির যুদ্ধ’ এড়াতে আঞ্চলিক চুক্তি এখন সময়ের দাবি এবং তা অত্যন্ত জরুরি।