ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা আলি শাদমানিকে ইসরায়েল হত্যার অভিযোগ তুলেছেন তার মেয়ে মাহদিয়ে শাদমানি। শুক্রবার (৪ জুলাই) তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে এই দাবি করেন।
মাহদিয়ে জানান, তার বাবার অবস্থান প্রতি কয়েক ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করা হতো এবং তিনি কোনো স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতেন না। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তবুও ইসরায়েল একাধিকবার তাকে টার্গেট করে এবং শেষ পর্যন্ত হত্যা করেছে।
আলি শাদমানি ইরানের খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের নতুন কমান্ডার ছিলেন। মাত্র চার দিন দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। তার আগের কমান্ডার আলি রাশিদও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
মাহদিয়ে বলেন, তার বাবা নিহত হওয়ার সময় কোনো সামরিক পোশাক পরেছিলেন না, বরং সাধারণ ধুলো-মাখা জামাকাপড় পরিহিত ছিলেন। তবুও ইসরায়েল তাকে শনাক্ত করে হত্যা করেছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে, তারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের অবস্থান শনাক্ত করছে। এসব অভিযোগের পর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নাগরিকদের স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। তারা দাবি করছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য ইসরায়েলের কাছে পাচার করা হচ্ছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ইরানে তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েল একাধিক শীর্ষ ইরানি সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি, রেভল্যুশনারি গার্ডস প্রধান হোসেইন সালামি, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদে এবং আইআরজিসি অপারেশনস বিভাগের উপ-প্রধান মেহেদি রাব্বানি।