ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আয়াতুল্লাহ খামেনি কি রাসূল (সা.)-এর বংশধর?

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে শুধু একজন রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করলেই হবে না। তিনি একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলেম, যিনি তার ধর্মীয় চর্চা, কঠোর আদর্শবাদ এবং ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের জন্য মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।

বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার কঠোর ও একক অবস্থান তাকে মুসলিম সমাজে একটি প্রতীকী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনি ১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আয়াতুল্লাহ সৈয়েদ জাওয়াদ খামেনি ছিলেন একজন সম্মানিত শিয়া আলেম। ধর্মীয় পরিবারে জন্ম নেওয়া খামেনি নিজেও আলেম হিসেবে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

তিনি নিজেকে ‘হোসাইনী সাইয়েদ’ হিসেবে দাবি করেন, যার অর্থ তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) এর বংশধর। যদিও আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষায় এই দাবির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে ঐতিহ্যগত বংশতালিকা ও মুসলিম সমাজে প্রচলিত পরিচয়ের মাধ্যমে তার এই দাবিটি ধর্মীয় মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

রেডিও ফারদা ও উইকিপিডিয়া সহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, খামেনি পরিবারের শিকড় ইরানি আজেরি সাইয়্যিদদের মধ্যে, যারা নিজেদের ইসলামের চতুর্থ ইমাম আলী ইবনে হুসেন জয়ন আল-আবিদিনের বংশধর দাবি করে। এই পরিবারের শিকড় আজারবাইজান, নাজাফ, তাফরেশ ও ইরানের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের সময়। তিনি ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে কাজ করেন। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত করা হয়। তারপর থেকে তিনিই ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স