গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং সতর্ক করে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার মতো কোনো ভূখণ্ড হয়তো আর অবশিষ্ট থাকবে না।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। তবে স্পষ্ট করেননি যে, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার নীতিতে পরিবর্তন আনবে কি না। তার এ বক্তব্য আসে এমন সময়ে, যখন সিডনিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশাল এক যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
গাজায় চলমান মানবিক সংকট, নারী ও শিশু নিহতের ঘটনা এবং সাহায্য সরবরাহ বন্ধ রাখার কারণে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা যেমন নিষেধাজ্ঞা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পেনি ওং বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই না।’
অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের দুই চরমপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে চান এবং ‘দুই রাষ্ট্রের সমাধান’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক রাওয়ান আরাফ বলেন, আলবেনিজের একমাত্র আলোচনা হওয়া উচিত অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যকার অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করা, নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য প্রেরণ করা।
Abdur Rabby
