ভারতের দার্জিলিংয়ে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ, আর হাজারো পর্যটক আটকে পড়েছেন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মীরা। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রত্যেককে ৫ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ পিটিআইকে জানান, “পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। টানা বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।”
মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে দার্জিলিং পাহাড় এবং দুয়ারস অঞ্চলে ব্যাপক ভূমিধস ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে দার্জিলিংয়ের মিরিক, সুখিয়াপোখরি, জোরবঙ্গলো এবং জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা।
ভূমিধসে ঘরবাড়ি হারানো দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা মনোজ রায় জানান, “আমার ঘর সম্পূর্ণভাবে কাদা ও পাথরের নিচে চাপা পড়েছে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি—আমাদের মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর তৈরি করে দিন।”
দিন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোরখাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) ও স্থানীয় এনজিওগুলোর সহযোগিতায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানান, “বন্যাদুর্গতদের মধ্যে খাবার, ওষুধ, কম্বল এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল বিতরণ চলছে।”
Abdur Rabby
