২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগের অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির হার কমে আসা এবং ব্যক্তিখাতে ভোগব্যয়ের প্রবৃদ্ধিকেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রবৃদ্ধির ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে, গত সপ্তাহে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জ্যঁ পেম বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। এই উত্তরণে যেমন চ্যালেঞ্জ আছে, তেমনি রয়েছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। এজন্য সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে এবং বেসরকারি খাতকে আরও কার্যকর করে তুলতে হবে।
বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা চলমান থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ কাঠামোর কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকবে। তবে আমদানি বাড়লে আবারও চলতি হিসাব ঘাটতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংস্থাটি আশা করছে, সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ায় বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তবে অর্থনীতিকে ঘিরে কিছু উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কথাও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে— ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থা, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংস্কার কার্যক্রমে বিলম্ব।
Abdur Rabby
