ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারের একটি হোটেলে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয় কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি অস্ত্রধারী দল হোটেলে প্রবেশ করে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, এবং সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। মনেক ডাকাতের নেতৃত্বে তারা গণি শাহ মাজারের কাছে তালতলায় স্থানীয় শিক্ষক এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে গুলি চালায়। এতে এমরান মাস্টার (৩৮) আহত হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত এক উপ-পুলিশ কমিশনারের ছোট ভাই এবং শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পরে বিক্ষুব্ধরা থোল্লাকান্দি গ্রামে গিয়ে একাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। রাতে গুলিবিদ্ধ চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে শিপন মিয়া রোববার ভোরে মারা যান, যখন হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মনেক ডাকাতের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের আরাফাতের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে শিপনের ওপর হামলা চালায় আরাফাতের নেতৃত্বাধীন দল। এ কারণে পরে মনেকের লোকজন এমরান মাস্টারের অফিসেও হামলা চালায়।
খবর পেয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক ও নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পিয়াস বসাক বলেন, “ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হামলার সঠিক কারণ তিনি প্রকাশ করতে চাননি।”
Abdur Rabby
