ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শাপলা কলি প্রতীকেই রাজি এনসিপি, প্রার্থী দেবে ৩০০ আসনে

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Nov 3, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

শাপলা কলি প্রতীকেই নির্বাচনে নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এ সময় তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন যে নতুন কিছু প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে, তার মধ্যে “শাপলা কলি” তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা আজ পছন্দের তালিকায় প্রথমে রেখেছি শাপলা, দ্বিতীয়তে সাদা শাপলা, আর তৃতীয়তে শাপলা কলি। আমরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি—এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য, যাতে মাঠে আমরা প্রতীক নিয়ে নামতে পারি।”

শাপলা কলি প্রতীক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “আমরা শাপলা কলি নিয়েই নির্বাচন করব। দেশের সব নেতা-কর্মী ও আগ্রহী প্রার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, প্রস্তুতি নিন, মনোনয়নের আবেদন জমা দিন।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, “দেশবাসীর মধ্যে শাপলা নিয়ে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এখন সেটি আরও এক ধাপ এগিয়েছে—শাপলা কলি হয়েছে। অর্থাৎ শাপলাও আছে, কলিও আছে। আমাদের ধারণাকে নির্বাচন কমিশন আরও প্রসারিতভাবে বিবেচনা করেছে।”

এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সমালোচনা করে বলেন, “রাষ্ট্রকে গোপন প্রেমের কারখানা বানাবেন না। যদি উপদেষ্টারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ ধরনের গোপন সম্পর্ক বজায় রাখেন, তবে গণতন্ত্রের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।”

জোট গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর এই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের সঙ্গী আমরা নই, তেমনি বিএনপির চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের সঙ্গেও আমরা নই। আমরা চাই—আগামী সংসদ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদমুক্ত হোক।”

গণভোট নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান প্রসঙ্গে পাটওয়ারী বলেন, “গণভোটের সময় নিয়ে দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে আছে। আমরা আহ্বান জানাব, নির্বাচন পিছিয়ে না দিয়ে যৌক্তিক পথে গণভোট সম্পন্ন করুন। আগে বা একই দিনে দিলেও ফলাফল এক।”

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে দুটি দাবি জানানো হয়—
১️⃣ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করা হোক, যাতে প্রতিটি দল নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য থাকে।
২️⃣ বিএনপির অযৌক্তিক চাপের কারণে যেন ইসির সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত না হয়, সে বিষয়ে লিখিত নিশ্চয়তা দেওয়া হোক।

এদিকে, এনসিপির অভিযোগ—আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিএনপিকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO)-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে না। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে এনসিপি তাঁর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। তাই কোনো রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।”


নিউজটি আপডেট করেছেন : Abdur Rabby

কমেন্ট বক্স