বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নয়, মূলত নিহত সরোয়ার বাবলাই ছিলেন দুষ্কৃতিকারীদের টার্গেট— এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতাল গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বিকেলে বন্দরনগরীর বায়েজিদ এলাকায় গণসংযোগে বের হলে গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির সদ্য মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা সরোয়ার বাবলা গুলিতে নিহত হন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, “দুষ্কৃতিকারীরা সরোয়ার বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি চালায়। ঘটনার সময় তিনি এরশাদ উল্লাহর সঙ্গেই ছিলেন।”
তিনি আরও জানান, সরোয়ারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যক্রমের ইতিহাস রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন সরোয়ার বাবলা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকেই বর্তমানে কারাগারে আছে, আবার দেশের বাইরে থেকেও এ হামলায় ইন্ধন দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসিব আজিজ বলেন, “আমরা অধিকাংশ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করছি। তবে ঘটনা ঘটার পর অনেকেই রিমোট এলাকায় পালিয়ে যায়, যেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এমন ঘটনা নিশ্চয়ই ভালো নয়। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন কিছু যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এরশাদ উল্লাহ আমার অফিসে এসেছিলেন। পরে তিনি গণসংযোগে বের হন, কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানাননি। স্থানীয় থানাও অবগত ছিল না।”
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, “গণসংযোগ বা জনসভা করার আগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় থানা ও সিএমপিকে জানাতে হবে।”
এ সময় তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন।
Abdur Rabby
