চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে সরোয়ার বাবলা নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরনগরীর বায়েজিদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, গুলির ঘটনার প্রায় ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এরশাদ উল্লাহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রচারপত্র বিলি করছেন। তার একটু পেছনে ছিলেন সরোয়ার বাবলা। হঠাৎ এক যুবক পেছন থেকে এসে সরোয়ারের ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। প্রথম গুলির সঙ্গে সঙ্গে现场ে হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং পরপর আরও কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে এরশাদ উল্লাহ ছাড়াও আহত হয়েছেন পাঁচলাইশ থানা তিন নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইরফানুল হক শান্ত। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সরোয়ার বাবলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “এই কাজটি কারা করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের কিছু প্রাথমিক ধারণা আছে। এরশাদ উল্লাহ টার্গেট ছিলেন না, টার্গেট ছিলেন সরোয়ার বাবলা— যিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।”
বুধবার রাতে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “সরোয়ার বাবলার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড ছিল। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বাবলার প্রতিপক্ষ বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
অপরাধীদের ধরতে চেষ্টার বিষয়ে কমিশনার বলেন, “আমরা অনেক অপরাধীকেই গ্রেপ্তার করছি। তবে ঘটনার পর আসামিরা রিমোট এলাকায় পালিয়ে যায়, যেখান থেকে তাদের ধরাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।”
নির্বাচনের আগে এমন ঘটনার প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, “এটা নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন ঘটনা অশুভ সংকেত। যেন আর কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।”
Abdur Rabby
