যুক্তরাষ্ট্র একটি খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছে, যাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে আল-শারার বৈঠকের ঠিক আগে।
রয়টার্স বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, খসড়া প্রস্তাবে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবটি কবে ভোটে তোলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৯টি ভোট প্রয়োজন এবং স্থায়ী পাঁচ সদস্য (রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য) কেউ ভেটো দিতে পারবে না।
ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই কয়েক মাস ধরে সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর, গত বছর ডিসেম্বরে সশস্ত্র বিরোধী বাহিনী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর অভিযানে তখনকার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা হয়। পূর্বে নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এই এইচটিএস ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও, ২০১৪ সাল থেকে এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএসআইএস নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি চলতি বছরে আল-শারার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একাধিকবার সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছে। এছাড়া, জাতিসংঘের তদারকী কর্মকর্তারা জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরে আল-কায়েদা ও এইচটিএস-এর মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়নি।
গত মে মাসে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই খসড়া প্রস্তাব এখনো গৃহীত হয়নি, তবুও সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউস সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
Abdur Rabby
