মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ৫৭ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুসান ত্যাগের আগে এ কথা জানান।

ট্রাম্প বলেন, এটি একটি “অসাধারণ” বৈঠক ছিল। শুল্ক কমানোর বিনিময়ে চীন পুনরায় মার্কিন সয়াবিন ক্রয় শুরু করবে, বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি চালু রাখবে এবং ফেন্টানাইলের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করবে। তিনি এ সময় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য সাফল্যকেও তুলে ধরেন।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (এপেক)-এর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। তবে বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাস্তবতায় এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কতদিন স্থায়ী হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ছয় বছর পর আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বৈঠক করেন মার্কিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট। আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি ছাড়াই এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে তারা নিজেদের দেশে ফেরেন। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে শুল্ক, বিরল খনিজ, মাদক চোরাচালান এবং কৃষিখাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে এই বৈঠকের মাধ্যমে শুল্ক যুদ্ধ সংক্রান্ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে ওয়াশিংটন হয়তো বেইজিংয়ের সহযোগিতাও চাইতে পারে। এর আগে, ২০১৯ সালে এই দুই নেতা সর্বশেষ বৈঠক করেন।